প্রকাশিত: Wed, Jul 5, 2023 10:39 PM
আপডেট: Mon, Jun 30, 2025 1:18 AM

[১]পদ্মা সেতু নির্মাণের পর উন্নয়ন সহযোগীরা আগের মতো শর্ত দেয় না: প্রধানমন্ত্রী

সালেহ্ বিপ্লব: [২] বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। সূত্র: বিটিভি, বাসস

[৩] তিনি বলেন, আমরা দেশকে এমনভাবে গড়ে তুলছি, যাতে কখনো অন্যের ওপর নির্ভর করে এগিয়ে যেতে না হয়। আগামী দিনেও দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এই কামনা করি।

[৪] প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

[৫] বুধবার ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

[৬] জাতির পিতা ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই পিজিআর গঠন করেন। এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার নিজস্ব উদ্যোগে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের জন্য উপযুক্ত সমর শক্তি গড়ে তুলেছিলেন।

[৭] সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সব বাহিনীকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরিত করেছি। সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতি-১৯৭৪-এর সাথে সঙ্গতি রেখে ফোর্সেস গোল-২০৩০ বাস্তবায়ন করছে।

[৮] তিনি বলেন, জাতির পিতার অনুসৃত পথ ধরে প্রশিক্ষণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় সরকার। সেই লক্ষ্যে সরকার সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণের মান উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। 

[৯] প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিটি বাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি সবসময় জনগণের পাশে দাঁড়ায়। বাহিনীর সদস্যরা পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শুধু দেশেই জনগণের পাশে দাঁড়ায়ই না, অধিকন্তু বিদেশে শান্তিরক্ষা মিশনেও কাজ করে। তাদের মানবিক সদিচ্ছার কারণে, তারা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সম্মান পায়। আমি খুব গর্ববোধ করি, যখন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা তাদের দেশে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করেন।

[১০] অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খালেদ কামাল প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

[১১] প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলের চারপাশে হেঁটে সকল অফিসার এবং জুনিয়র কমিশনড অফিসারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পরে তিনি পিজিআরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন। সম্পাদনা: এল আর বাদল